crossorigin="anonymous">     crossorigin="anonymous"> ছাতির বদলে হাতি রচণায় মহাজনের চরিত্র যে ভাবে উপস্থাপিত হয়...

ছাতির বদলে হাতি রচণায় মহাজনের চরিত্র যে ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় লেখো ?

ANS:  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জমিদার ও বঙ্গদেশের কৃষক নামাঙ্কিকিত প্রবন্ধে জমিদার  কিভাবে শোষন করতেন এবং মহাজন কিভাবে অতি সাধারন মানুষের সুখ শান্তি কেড়ে  নিতেন সে দীকে দিষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ।  আবার, বিখ্যাত প্রাবন্ধিক অক্ষয় কুমার দত্ত মহাজনদের চরিত্র কত নিম্ন হতে পারে সেই দিকে আলোকপাত করেছেন। ঠিক একইভাবে সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘ছাতির বদলে হাতি’ নামাঙ্কিত রচনায় দেখিয়েছেন  মহাজনরা কি নির্মমভাবে প্রজাদের শোষণ করতেন ।  তিনি পরপর তিনজন মহাজনের চরিত্র তুলে ধরেছেন এগুলি হল —————-
একঃ মনমোহন মহাজন একটি ছাতি বিক্রি করেছিলেন হালুয়াঘাট বন্দরে সওদায় আসা চেংমান এক গারো চাষীকে । কিন্তু অনেক দিন পর তিনি ছাতির মূল্য বাবদ  যে অর্থ চেয়েছিলেন তা প্রায় একটি হাতির দাম ।  তা শোধ করতে চেংমানের ছত্রিশ  বিঘে জমি চলে গিয়েছিল ।
দুইঃ আমারে জানতে পারি ডালুদের গ্রাম কুমার গাঁতির নিবেদন সরকারের কথা ।   তিনি মহাজন কুটিশ্বর সাহার কাছ থেকে বাকিতে মশলা পাতি নিয়ে ‘৬৬’ বিঘে জমি হারিয়েছিলেন।
তিনঃ এছাড়া আর এক ধুরন্ধর মহাজন এক চাষীকে কোদাল দিয়ে পরে তার কাছ থেকে ১৫ বিঘে জমি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে মহাজনদের চরিত্র মোটেই সাধু ব্যক্তিদের মত নয় । অর্থাৎ মহাজনরা তাদের হৃদয় থেকে সমস্ত মহৎ গুণগুলি হারিয়েছিলেন এবং মানবিকতাকে বিসর্জন দিয়েছিলেন । তাদের শোষণের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হতেন অসংখ্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ । কাজেই সেই মহাজনদের অমানবিকতা, নিচতা ও মনুষ্যত্বহীনতা কার্যকলাপের হতবাক হয়েছিলেন লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ।  প্রজারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও বুকের রক্ত জল করে ফসল উৎপন্ন করতো, অথচ সেই ফসলে তাদের কোন অধিকার ছিল না । তাই লেখক লিখেছেন “মহাজনেরা কর্জাধানে এক মনে দু- মন সুদ আদায় করত” এইভাবে মহাজনি প্রথার নিষ্ঠুরতায় প্রজারা সর্বতো হারাতো ।

Leave a Comment