****1) প্রশ্ন: "পুঁইমাচা" গল্পের সহায়হরির স্ত্রী ও কন্যাদের নাম উল্লেখ করো।
উত্তর: পুঁইমাচা" গল্পের সহায়হরির স্ত্রীর নাম অন্নপূর্ণা, এবং কন্যাদের নাম ক্ষেন্তি, পুঁটি ও রাধী।
**2) প্রশ্ন: সহায়হরির বড়ো মেয়ে ক্ষেন্তির বিয়ের আশীর্বাদের পর তা ভেঙে দেন কেন?
উত্তর: সহায়হরির মেয়ে ক্ষেন্তির বিয়ের জন্য ঠিক হয়েছিল শ্রীমন্ত মজুমদারের ছেলের সঙ্গে। যদিও তার অবস্থান খুব খারাপ ছিল না, তবে তার চরিত্র ভালো ছিল না। এক কুম্ভকার বধূর আত্মীয়রা তাকে বেদম প্রহার করে শয্যাশায়ী করে দেয়। এই সংবাদ পেয়ে সহায়হরি বিয়ে ভেঙে দেন।
****3) প্রশ্ন: "ইহাদের ভাব দেখিয়া মনে হইতেছিল ইহারা কাহারো ঘরে সিঁদ দিবার উদ্দেশ্য চলিয়াছে।" কার কথা বলা হয়েছে? তারা কোথায় যাচ্ছিল?
উত্তর: "ইহাদের ভাব দেখিয়া মনে হইতেছিল" এখানে "পুঁইমাচা" গল্পের সহায়হরি ও তাঁর বড়ো মেয়ে ক্ষেন্তির কথা বলা হয়েছে। তাঁরা দুজনে জঙ্গলে মেটে আলু তুলবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
*****4) প্রশ্ন: "তিনকাল গিয়েছে এক কাল আছে মিথ্যা কথা গুলো আর এখন বলো না।" কে কাকে বলেছে? সে কি মিথ্যা কথা বলেছে?
উত্তর: "তিনকাল গিয়েছে এক কাল আছে ..." কথাটি "পুঁইমাচা" গল্পের অন্নপূর্ণা তাঁর স্বামী সহায়হরি বরোজ পোতার বনে চুরি করে মেটে আলু তুলে এনে বলেছিলেন। তিনি ময়শা চৌকিদারের অনুরোধে তাদের বেড়ার গা থেকে তুলে এনেছেন।
***5) প্রশ্ন: পৌষ সংক্রান্তিতে "পুঁইমাচা" গল্পের অন্নপূর্ণা মেয়েদের জন্য কোন পিঠে বানিয়ে ছিলেন? ক্ষেন্তি সেই পিঠে কত খানা খেয়েছিল?
উত্তর: পৌষ সংক্রান্তিতে অন্নপূর্ণা মেয়েদের জন্য নারিকেলের পুর দিয়ে পাটি সাপটা নামের পিঠে বানিয়েছিলেন। ক্ষেন্তি সেই পিঠে অন্তত বাইশ-চব্বিশটা খেয়েছিল।
****6) প্রশ্ন: কোন মাসে ক্ষেন্তির বিয়ে হয়? তার জন্য কেমন পাত্র ঠিক হয়েছিল?
উত্তর: ক্ষেন্তির বিয়ে বৈশাখ মাসে হয়। পাত্রটি ছিল দ্বিতীয় পক্ষের, বয়স চল্লিশের বেশি নয়, সঙ্গতি সম্পন্ন, শহরে বাড়ি আছে, এবং ব্যবসাও ছিল বলে শোনা যায়।
******7) প্রশ্ন: "পুঁইমাচা" গল্পের ক্ষেন্তি পিতৃগৃহে যাবার সময় মাকে কি বলেছিল?
উত্তর: "পুঁইমাচা" গল্পের ক্ষেন্তি পিতৃগৃহে যাবার সময় মাকে বলেছিল, "মা, আসার মাসেই আমাকে এনো, বাবাকে পাঠিয়ে দিও, দুটো মাস তো।"
**8) প্রশ্ন: শ্বশুরবাড়িতে ক্ষেন্তির কোন কোন নিন্দে প্রচার হয়েছিল?
উত্তর: ক্ষেন্তির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে নিন্দে করে বলতো, "ছোট লোকের মেয়ের মতন চাল, হাভাতে ঘরের মতন খায় খায়!" আরো নানা কটূক্তি প্রচার করত।
****9) প্রশ্ন: বিয়ের কতদিন পরে ক্ষেন্তি মারা যায়? কিভাবে?
উত্তর: বিয়ের দশ মাস পর, অর্থাৎ বৈশাখে বিয়ে হওয়ার পর ফাল্গুন মাসে, ক্ষেন্তি বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে কালীঘাটে সহায়হরির দূর সম্পর্কের এক বোনের বাড়িতে রেখে আসে, যেখানে বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়।
**10) প্রশ্ন: "পুঁইমাচা" গল্পের ক্ষেন্তিকে "লোভী মেয়েটি" বলা হয়েছে কেন? গল্পের শেষে তার কোন স্মৃতি মা ও বোনদের ভারাক্রান্ত করেছে?
উত্তর: ক্ষেন্তি অধিকমাত্রায় ভোজনপ্রিয় ছিল, বিশেষ করে খাওয়ার প্রতি তার আগ্রহ ছিল অতিরিক্ত। এই কারণেই তাকে "লোভী মেয়েটি" বলা হয়েছে। গল্পের শেষে তার লাগানো পুঁই চারার বাড়-বাড়ন্ত দেখে তার মা ও বোনদের মন ভারাক্রান্ত হয়েছিল।
****11) প্রশ্ন: ক্ষেন্তির শ্বশুরবাড়ির মানুষেরা যে চামার, তার অনুকূলে প্রমাণ কী?
উত্তর: ক্ষেন্তির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা "চামার" কারণ মানুষত্য তাদের মধ্যে ছিল না। তারা বউয়ের খাওয়ার খোটা দিত, অকারণে সরলা মেয়েটাকে গাল দিত, বাবার বাড়িতে আসতে দিত না। গায়ে বসন্ত বেরুতেই তারা গয়না খুলে নিয়ে তাকে কালীঘাটে ফেলে আসে।
****12) প্রশ্ন: "পুঁইমাচা" গল্পের প্রধান বিষয়টি কী?
উত্তর: "পুঁইমাচা" গল্পের প্রধান বিষয় হলো একটি গ্রামীণ, প্রাণবন্ত, সরলা কিশোরীর করুণ পরিণতি। সামাজিক প্রথা মানতে গিয়ে পনেরো বছরের ক্ষেন্তির বিয়ে হয় চল্লিশ বছরের দ্বিতীয় পক্ষের পাত্রের সঙ্গে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তার মৃত্যু হয়।