crossorigin="anonymous">     crossorigin="anonymous"> 4th Semester Internal Assessment Political Science Course POL-H-CC-T-9 Chapra Bangaljhi Mahavidyalaya

4th Semester Internal Assessment Political Science Course POL-H-CC-T-9 Chapra Bangaljhi Mahavidyalaya

4Th Semester

CC-9 Internal Assessment

Course : POL-H-CC-T-9

1. বিশেষজ্ঞ অবিশেষজ্ঞ বিতর্ক

বিশেষজ্ঞ অবিশেষজ্ঞ বিতর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা হলেন যাঁরা তাদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, অবিশেষজ্ঞরা হলেন যাঁরা সেই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নন। এই বিতর্কের মূল প্রশ্ন হলো, বিশেষজ্ঞদের মতামত কতটা মূল্যবান এবং অবিশেষজ্ঞদের মতামত কতটা গ্রহণযোগ্য।

বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা :

বিশেষজ্ঞরা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাদের গবেষণা, প্রশিক্ষণ, এবং অভিজ্ঞতা তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চমাত্রার বোঝাপড়া প্রদান করে। বিশেষজ্ঞদের মতামত সাধারণত বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এবং পরীক্ষিত। উদাহরণস্বরূপ, একজন ডাক্তার বা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের মতামত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান।

বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা প্রযুক্তি, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তারা নতুন আবিষ্কার, উদ্ভাবন, এবং উন্নতির পথপ্রদর্শক। উদাহরণস্বরূপ, চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা নতুন ঔষধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যা মানুষের জীবন রক্ষা করে।

অবিশেষজ্ঞদের ভূমিকা :

অবিশেষজ্ঞরা সাধারণ জনগণ বা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নন এমন ব্যক্তিদের নির্দেশ করে। যদিও তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে গভীর জ্ঞান নেই, তবে তাদের মতামতও গুরুত্বপূর্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোন একটি পণ্যের ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা নির্ভর করে সাধারণ জনগণের মতামত ও প্রতিক্রিয়া উপর। এই অভিজ্ঞতাগুলি একটি পণ্য বা সেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারে।

অবিশেষজ্ঞরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেন। উদাহরণস্বরূপ, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের মতামত নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, সাধারণ জনগণের মতামত ও প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং পরিবেশগত নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ বনাম অবিশেষজ্ঞ বিতর্কের পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি :

বিশেষজ্ঞদের পক্ষে যুক্তি :

১. গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা: বিশেষজ্ঞরা তাদের ক্ষেত্রের গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করেন যা তাদের মতামতকে অত্যন্ত মূল্যবান করে তোলে।
২. বৈজ্ঞানিক ভিত্তি: বিশেষজ্ঞদের মতামত সাধারণত বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এবং পরীক্ষিত। এটি তাদের মতামতকে নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
৩. নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন: বিশেষজ্ঞরা নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন করে যা সমাজের উন্নতি ও প্রগতিতে সহায়ক।

অবিশেষজ্ঞদের পক্ষে যুক্তি :

১. সাধারণ জনগণের অভিজ্ঞতা: অবিশেষজ্ঞরা সাধারণ জনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামত প্রদান করেন যা একটি পণ্য বা সেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। 

২. গণতন্ত্র ও মতামতের বৈচিত্র্য: গণতন্ত্রে সাধারণ জনগণের মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন মতামত ও প্রতিক্রিয়া সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়ক হতে পারে। 

৩. অন্য দৃষ্টিভঙ্গি: অবিশেষজ্ঞরা নতুন ও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পারেন যা বিশেষজ্ঞদের দ্বারা উপেক্ষিত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ ও অবিশেষজ্ঞের মধ্যে সম্পর্ক :

বিশেষজ্ঞ ও অবিশেষজ্ঞের মধ্যে সম্পর্ক কখনও কখনও বিরোধপূর্ণ হলেও, তাদের মধ্যে সহযোগিতা এবং মতামত বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে অবিশেষজ্ঞদের সাহায্য করতে পারেন, এবং অবিশেষজ্ঞরা তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিশেষজ্ঞদের কাজকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞ ও অবিশেষজ্ঞের সম্পর্কের উদাহরণ :

১. স্বাস্থ্যসেবা: ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে সম্পর্ক একটি ভাল উদাহরণ। ডাক্তাররা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদান করেন, এবং রোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রতিক্রিয়া দিয়ে চিকিৎসার উন্নতি করতে সাহায্য করেন।

২. শিক্ষা: শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবিদরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করেন, এবং শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করতে সাহায্য করেন।

৩. গবেষণা ও উন্নয়ন: গবেষক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকরা নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবন করেন, এবং সাধারণ জনগণ তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত দিয়ে গবেষণার উন্নতি করতে সাহায্য করেন।

বিশেষজ্ঞ অবিশেষজ্ঞ বিতর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপট :

বর্তমান সময়ে, বিশেষজ্ঞ অবিশেষজ্ঞ বিতর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমের বিস্তার সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রদানের সুযোগ দিয়েছে। তবে, এটি কখনও কখনও ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর কারণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করা এবং অবিশেষজ্ঞদের মতামতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া সমাজের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

ভুয়া তথ্য ও গুজবের প্রভাব :

সামাজিক মাধ্যম ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করে, এই ধরনের তথ্য সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে বিভিন্ন ভুয়া তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি করেছিল।

বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন :

বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ে আরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের তথ্য ও মতামত সাধারণ জনগণের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়াও, অবিশেষজ্ঞদের মতামতও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত, তবে তা বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিত।

উপসংহার :

বিশেষজ্ঞ অবিশেষজ্ঞ বিতর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের গভীর জ্ঞান ও দক্ষতা, এবং অবিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও মতামত উভয়ই মূল্যবান। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা সমাজের উন্নতি ও প্রগতির জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের তথ্য ও মতামত সাধারণ জনগণের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরা, এবং অবিশেষজ্ঞদের মতামত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা, আমাদের সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

2. MNREGA সম্পর্কিত টিকা

ভূমিকা :

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (MNREGA) ২০০৫ সালে ভারতের সংসদে পাস হয়। এটি ভারতের গ্রামীণ এলাকার বেকারত্ব হ্রাস এবং গ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি বিশাল উদ্যোগ। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো প্রত্যেক গ্রামীণ গৃহস্থকে প্রতি অর্থবর্ষে ন্যূনতম ১০০ দিনের মজুরি নিশ্চয়তা প্রদান করা। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য ও অভাব দূর করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

MNREGA এর প্রেক্ষাপট :

MNREGA প্রণয়নের পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। ভারতের বেশিরভাগ জনগণ গ্রামীণ এলাকায় বাস করে, যেখানে বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে MNREGA চালু করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণকে কর্মসংস্থান প্রদান করা হয়, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়ক।

MNREGA এর প্রধান বৈশিষ্ট্য :

MNREGA এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এই কর্মসূচিকে অনন্য করে তোলে।

  1. কর্মসংস্থানের অধিকার: MNREGA প্রত্যেক গ্রামীণ গৃহস্থকে প্রতি অর্থবর্ষে ন্যূনতম ১০০ দিনের মজুরি নিশ্চয়তা প্রদান করে। এটি আইনি অধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

  2. মজুরির পরিমাণ: MNREGA অনুযায়ী, শ্রমিকদের কাজের জন্য ন্যায্য মজুরি প্রদান করা হয়। এই মজুরি রাজ্য অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

  3. গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূমিকা: গ্রাম পঞ্চায়েত MNREGA এর আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে। এটি গ্রামের উন্নয়নে স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিশ্চিত করে।

  4. সমাজিক নিরীক্ষা: MNREGA এর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সমাজিক নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ কাজের গুণগতমান এবং মজুরির ন্যায্যতা সম্পর্কে সচেতন থাকে।

MNREGA এর প্রভাব :

MNREGA এর প্রভাব ব্যাপক এবং বিভিন্ন দিক থেকে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।

  1. বেকারত্ব হ্রাস: MNREGA এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। শ্রমিকরা নিয়মিত কাজের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাদের জীবিকার উন্নতিতে সহায়ক।

  2. দারিদ্র্য দূরীকরণ: MNREGA এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ নিয়মিত আয় পাচ্ছেন, যা তাদের দারিদ্র্য থেকে উত্তরণের পথ প্রদর্শন করছে। এর ফলে গ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

  3. গ্রামীণ উন্নয়ন: MNREGA এর আওতায় গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা নির্মাণ, জল সংরক্ষণ প্রকল্প, বনায়ন ইত্যাদি। এই প্রকল্পগুলি গ্রামের সামগ্রিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

  4. নারীর ক্ষমতায়ন: MNREGA তে নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা হয়েছে। অনেক গ্রামীণ নারী এই কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং তাদের সামাজিক অবস্থান উন্নত হয়েছে।

চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা :

MNREGA এর অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও, এর বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা রয়েছে।

  1. তহবিলের অভাব: অনেক সময় পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে প্রকল্পগুলি সময়মতো সম্পন্ন হয় না। এর ফলে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে দেরি হয়, যা তাদের জীবিকা নির্বাহে সমস্যার সৃষ্টি করে।

  2. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি: কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। এর ফলে প্রকৃত শ্রমিকরা কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

  3. কাজের গুণগতমান: কিছু ক্ষেত্রে কাজের গুণগতমান নিম্নমানের হয়। এর ফলে প্রকল্পগুলির স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

  4. সমাজিক নিরীক্ষার অভাব: অনেক গ্রামে সমাজিক নিরীক্ষার কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। এর ফলে প্রকল্পগুলির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।

সমাধান ও সুপারিশ :

MNREGA এর কার্যকারিতা বাড়াতে এবং এর সমস্যাগুলি সমাধান করতে কিছু সুপারিশ করা যেতে পারে।

  1. তহবিলের সময়মত প্রদান: প্রকল্পগুলির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে সময়মত তহবিলের ব্যবস্থা করা উচিত। এর মাধ্যমে কাজের গতি বাড়ানো এবং শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করা যাবে।

  2. দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ: স্থানীয় প্রশাসনের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এর মাধ্যমে প্রকৃত শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পাবেন এবং প্রকল্পগুলির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে।

  3. কাজের গুণগতমান উন্নয়ন: প্রকল্পগুলির কাজের গুণগতমান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এর মাধ্যমে প্রকল্পগুলির স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

  4. সমাজিক নিরীক্ষা শক্তিশালীকরণ: গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সমাজিক নিরীক্ষার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এর মাধ্যমে প্রকল্পগুলির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

উপসংহার :

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (MNREGA) ভারতের গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্ব হ্রাস এবং গ্রামের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ নিয়মিত কাজের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাদের জীবিকার উন্নতিতে সহায়ক। তবে, এর বাস্তবায়নে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা রয়েছে, যা সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তহবিলের সময়মত প্রদান, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, কাজের গুণগতমান উন্নয়ন এবং সমাজিক নিরীক্ষা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে MNREGA এর কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। এর ফলে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে এই কর্মসূচির ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

4Th Semester

Course : POL-H-CC-T-10

CC-10  Internal Assesssment

Leave a Comment