বাঙ্গালা ভাষা স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর | W.B
1) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার প্রতি কী ধরনের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন?
উত্তর:স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষাকে অত্যন্ত মধুর, সমৃদ্ধ এবং ভাবপ্রকাশের উপযুক্ত ভাষা হিসেবে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি ভাষার সাহিত্যিক ও সামাজিক গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
2) প্রশ্ন: বিবেকানন্দের মতে বাঙ্গালা ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: বিবেকানন্দের মতে, বাঙ্গালা ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর সহজবোধ্যতা, মাধুর্য এবং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা।
3) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ কেন বাঙ্গালা ভাষার উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন যে, বাঙ্গালা ভাষার উন্নতি জাতির উন্নতির সঙ্গে জড়িত। ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটানো সম্ভব, যা জাতির অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।
উত্তর: বিবেকানন্দ যুব সমাজকে বাঙ্গালা ভাষার চর্চা ও উন্নতির জন্য কাজ করার এবং এর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রচারের উপদেশ দিয়েছেন।
5) প্রশ্ন: প্রবন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে কী বলেছেন?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভাষার উন্নতি হলে তা সমগ্র জাতির উন্নয়নে সহায়ক হবে।
6) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার সাথে কোন বিদেশি ভাষার তুলনা করেছেন?
উত্তর: তিনি বাঙ্গালা ভাষার মাধুর্য এবং গভীরতার তুলনা করেছেন বিদেশি ভাষার সাথে এবং প্রমাণ করেছেন যে বাঙ্গালা ভাষা কোনো দিক থেকেই পিছিয়ে নেই।
7) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষা প্রবন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ কাকে ভাষার উন্নতির দায়িত্ব দিয়েছেন?
উত্তর:বিবেকানন্দ মনে করতেন, সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষিত সমাজের যৌথ উদ্যোগে ভাষার উন্নতি সম্ভব।
8) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার প্রতি অবহেলার কারণ কী বলে উল্লেখ করেছেন স্বামী বিবেকানন্দ?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, ইংরেজি শিক্ষার প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁক এবং নিজের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধার অভাব বাঙ্গালা ভাষার প্রতি অবহেলার মূল কারণ।
9) প্রশ্ন: বিবেকানন্দের মতে ভাষা কিভাবে জাতির উন্নতির হাতিয়ার?
উত্তর: বিবেকানন্দ মনে করতেন, ভাষা জাতির ভাবপ্রকাশের মাধ্যম। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিস্তার জাতির উন্নতির প্রধান হাতিয়ার।
10) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার লেখকদের কী পরামর্শ দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি বাঙ্গালা ভাষার লেখকদের সহজ, প্রাঞ্জল ও সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় রচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে ভাষা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
11) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ কী বলেছেন?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, মাতৃভাষায় মৌলিক রচনা এবং অনুবাদের মাধ্যমে বাঙ্গালা ভাষার সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে হবে।
12) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালার শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কী মত প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন, শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষার ব্যবহার বাড়ানো উচিত, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
13) প্রশ্ন: বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভয় প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে, ইংরেজি শিক্ষার অতিরিক্ত প্রভাব এবং মাতৃভাষার প্রতি অবহেলা বাঙ্গালা ভাষার গুরুত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে।
14) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দের মতে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা কেন জরুরি?
উত্তর: মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা জাতির সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। এটি ভাষার উন্নতি এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে সহায়ক।
15) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের আহ্বান কী ছিল?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ আহ্বান করেছিলেন, সকলকে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং ভাষার উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে।
16) প্রশ্ন: প্রবন্ধে বিবেকানন্দ কার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: তিনি বাঙ্গালার প্রাচীন এবং আধুনিক কবি ও লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যাঁরা ভাষার সমৃদ্ধি বাড়াতে অবদান রেখেছেন।
17) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন?
উত্তর: তিনি বিশ্বাস করতেন, যদি মাতৃভাষার চর্চা ও প্রচার সঠিকভাবে করা হয়, তবে বাঙ্গালা ভাষা বিশ্বমঞ্চে বিশেষ স্থান অর্জন করতে পারবে।
18) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ কীভাবে বাঙ্গালার সাধারণ মানুষের ভূমিকা দেখতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: তিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাঙ্গালা ভাষাকে জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
19) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর: তিনি উল্লেখ করেছেন যে বাঙ্গালা ভাষার ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়, এবং এটি প্রাচীন কাল থেকেই জ্ঞান ও ভাবপ্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
20) প্রশ্ন: বিবেকানন্দ বাঙ্গলা ভাষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য কী পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন যে মাতৃভাষায় লেখা সহজবোধ্য এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু ভাষার জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হবে।
21) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষকদের কী নির্দেশ দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি শিক্ষকদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা দিয়ে তাদের মৌলিক চিন্তা ও সৃজনশীলতা বিকাশের পথ তৈরি করতে হবে।
22) প্রশ্ন: বিবেকানন্দ কীভাবে বাঙ্গালা ভাষাকে জাতীয় ভাষার পর্যায়ে দেখতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: তিনি মনে করতেন, বাঙ্গালা ভাষার উন্নতির মাধ্যমে এটি ভারতবর্ষের অন্যতম প্রধান ভাষা হতে পারে।
23) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার সাহিত্যিক পরিবেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য বিবেকানন্দ কী বলেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, নতুন প্রজন্মের লেখকদের মৌলিক রচনা তৈরিতে উৎসাহিত করা উচিত, যা ভাষার সাহিত্যিক পরিবেশকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
24) প্রশ্ন: বিবেকানন্দের মতে মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করার কী সুবিধা রয়েছে?
উত্তর: তাঁর মতে, মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করলে ছাত্রছাত্রীরা সহজে বিষয়বস্তু বুঝতে পারে এবং জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করতে পারে।
25) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ কিভাবে ভাষার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য স্থাপনের কথা বলেছেন?
উত্তর: তিনি মনে করতেন, এক ভাষার চর্চা জাতির ভেতরে ঐক্যের বোধ সৃষ্টি করতে পারে এবং বিভেদের দেয়াল ভাঙতে সাহায্য করে।
26) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার প্রতি তৎকালীন সমাজের উদাসীনতার জন্য বিবেকানন্দ কী মন্তব্য করেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, তৎকালীন সমাজের ইংরেজি শিক্ষার প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা এবং নিজেদের ভাষার প্রতি উদাসীনতা বাঙ্গালা ভাষার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।
27) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য বিবেকানন্দ কী পরামর্শ দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, অন্যান্য ভাষা থেকে প্রয়োজনীয় শব্দ ধার নিয়ে বাঙ্গালা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।
28) প্রশ্ন: বিবেকানন্দ বাঙ্গালার নারীদের ভাষার প্রতি কী ভূমিকা আশা করেছিলেন?
উত্তর: তিনি আশা করেছিলেন যে নারীরা বাঙ্গালা ভাষার প্রচার এবং সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
29) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার সংস্কৃতির প্রতি কী গুরুত্ব আরোপ করেছেন?
উত্তর: তিনি মনে করতেন যে বাঙ্গালা ভাষা কেবল একটি ভাষা নয়, এটি একটি সংস্কৃতির প্রতীক, যা জাতির পরিচয় বহন করে।
30) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার লেখাগুলোর গুণমান উন্নতির জন্য কী বলেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, লেখাগুলো এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যাতে তা শিক্ষিত এবং সাধারণ উভয় শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
31) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার গঠন সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, বাঙ্গালা ভাষার গঠন অত্যন্ত সরল এবং এটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য খুবই উপযুক্ত।
32) প্রশ্ন: প্রবন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ কিভাবে ভাষার আধুনিকীকরণের কথা বলেছেন?
উত্তর: তিনি মনে করতেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভাষার আধুনিকীকরণ প্রয়োজন, তবে তা মাতৃভাষার মৌলিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট না করে।
33) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালার শিশুদের ভাষা শিক্ষার জন্য কী উপদেশ দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ এটি তাদের বুদ্ধি এবং মননের বিকাশে সহায়ক।
34) প্রশ্ন: বিবেকানন্দের মতে ভাষা কিভাবে জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে?
উত্তর: ভাষা জাতির ঐতিহ্য, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির বাহন। এটি সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও প্রচারের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে।
35) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ কেন বাঙ্গালা ভাষাকে সহজ ভাষা বলেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, বাঙ্গালা ভাষার শব্দচয়ন এবং বাক্যগঠন অত্যন্ত সহজ, যা সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য খুবই কার্যকর।
36) প্রশ্ন: বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষায় সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে কোন দিকগুলোতে গুরুত্ব দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি সহজবোধ্যতা, প্রাঞ্জলতা এবং ভাষার মাধুর্যের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন, যাতে সব ধরনের পাঠক ভাষাকে গ্রহণ করতে পারেন।
37) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার চর্চার জন্য শিক্ষিত সমাজের প্রতি কী আহ্বান জানিয়েছেন?
উত্তর: তিনি শিক্ষিত সমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন, মাতৃভাষার সাহিত্য চর্চা ও প্রসারে তাদের ভূমিকা রাখার জন্য।
38) প্রশ্ন: প্রবন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার কোন বিশেষ দিকটি উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: তিনি বলেছেন, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দিলে তা ছাত্রদের চিন্তা ও বোধগম্যতা বাড়াতে সাহায্য করে।
39) প্রশ্ন: বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষায় বিদেশি শব্দ ব্যবহারের ব্যাপারে কী মতামত দিয়েছেন?
উত্তর: তিনি মনে করতেন, যেখানে প্রয়োজন, সেখানে বিদেশি শব্দের গ্রহণযোগ্য ব্যবহার ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
40) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালা ভাষার মাধ্যমে কোন বিষয়গুলির প্রচার করতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: তিনি বাঙ্গালা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা, জাতীয় ঐক্য, এবং সংস্কৃতির প্রচার করতে চেয়েছিলেন।
41) প্রশ্ন: বাঙ্গালা ভাষার প্রতি দায়িত্ব পালনের বিষয়ে বিবেকানন্দ কী বলেছেন?
উত্তর: তিনি মনে করতেন, প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত মাতৃভাষার প্রচার ও সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া।
42) প্রশ্ন: স্বামী বিবেকানন্দ বাঙ্গালার সাহিত্যিকদের কোন দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন?
উত্তর: তিনি সাহিত্যিকদের দায়িত্ব দিয়েছেন ভাষার সৃষ্টিশীলতা এবং আধুনিকতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে রচনা করতে।