এখানে শুধু Important প্রশ্নের উত্তরগুলি দেয়া রয়েছে
1ST Semester
(History of Early India,from Reomote past to the end of the Vedic Polity)
History Major CC-T-101
Kalyani University b.a 1st sem History major Short Question Answers 2025
***1) প্রশ্ন: দুটি ভারতীয় স্থানের নাম উল্লেখ কর যেখানে পুরাতন প্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে?
Kalyani University BA 1st Semester History Major Short Question and Answer Suggestion PDF টি পেতে.. আপনি 21 টাকা পেমেন্ট করুন। পেমেন্টের পর এক সেকেন্ডের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সাজেশনটি পাবেন। ধন্যবাদ। টাকা টি পেমেন্ট করার জন্য নিচে PAY বাটনে ক্লিক করুন।
উত্তর: রাওয়ালপিণ্ডির সাওল উপত্যকা এবং বেলুচিস্তানের জোব অঞ্চল এমন দুটি স্থান যেখানে পুরাতন প্রস্তর যুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।
***2) প্রশ্ন: ঋগ্বেদের কোন অংশে মহাবিশ্বের উৎপত্তির বিবরণ দেওয়া হয়েছে?
অথবা
ঋকবেদের কোন্ অংশে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর: ঋগ্বেদের 'সংহিতা" অংশে লিপিবদ্ধ হয়েছে ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ, বিষ্ণু, রুদ্র প্রমুখ বৈদিক দেবতার বিভিন্ন অংশ তথা বিশ্বব্রক্মাণ্ডের উৎপত্তি বর্ণনা করা হয়েছে।
***3) প্রশ্ন: নব্যপ্রস্তর যুগের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: নব্যপ্রস্তর যুগের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:
(ক) নব্যপ্রস্তর যুগের শেষ দিকে মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবাস নির্মাণ করতে শেখে। তারা গাছের ডালপালা ও ঘাসপাতা দিয়ে কুটির বানাতে শুরু করে।
(খ) এই যুগে ভাষার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে। সমাজের কাঠামো আরও সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠে, এবং এর ফলে বিভিন্ন নিজস্ব বৈশিষ্ট্যযুক্ত ভাষার উদ্ভব ঘটে।
***4) প্রশ্ন: মল্ল এবং কম্বোজ এই মহাজনপদগুলির রাজধানীর নাম কী ছিল?
উত্তর: ষোড়শ মহাজনপদের যুগে মল্লের রাজধানী ছিল কুশীনারা বা পাবা এবং কম্বোজের রাজধানী ছিল রাজপুর।
***5) প্রশ্ন: প্রাগৈতিহাসিক ভারতে ১০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৪,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত সময়কাল কোন যুগ নামে পরিচিত?
উত্তর: এই সময়কালটি নিওলিথিক বিপ্লব নামে পরিচিত। ১০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শুরু হওয়া এই যুগে কৃষির বিকাশ ঘটে, যা মানুষের জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ১০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, বর্তমান চীনে প্রায় ৭,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, সিন্ধু উপত্যকা ও ইউরোপে প্রায় ৬,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এবং আমেরিকায় প্রায় ৪,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নিওলিথিক বিপ্লবের চিহ্ন পাওয়া যায়।
***6) প্রশ্ন: ভারতের অন্তত দুটি প্রধান স্থানের নাম লিখুন যেখানে মেসোলিথিক যুগের আবিষ্কারগুলি পাওয়া যায়।
অথবা
ভারতে অন্তত দুটি প্রধান কেন্দ্রের নাম লেখ, যেখানে মধ্যপ্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
উত্তর: লাংঘনাজ এবং ভীমবেটকায় মধ্য প্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
***7) প্রশ্ন: ঋক-বৈদিক যুগে সভা ও সমিতির প্রধান কার্যাবলি কী ছিল তা ব্যাখ্যা
উত্তর: ঋক-বৈদিক যুগে স্থানীয় প্রশাসনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংস্থা ছিল—‘সভা’ ও ‘সমিতি’। ‘সভা’ মূলত রাজ্যের জ্ঞানী, অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হত। অন্যদিকে, ‘সমিতি’ গঠিত হত সাধারণ জনগণের মধ্যে থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে। এই দুটি সংস্থার পরামর্শ মেনে রাজা রাজ্য শাসনের দায়িত্ব পালন করতেন।
***8) প্রশ্ন: ঋক বৈদিক দেবী অদিতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ ?
উত্তর: অদিতি ঋকবেদে উল্লেখিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেবী, যিনি সূর্য ও অন্যান্য স্বর্গীয় দেবতা আদিতি (অদিতির পুত্র) এর মা হিসেবে পরিচিত। ঋকবেদে তাঁর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়, যা প্রায় ১৭০০-১১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রচিত হয় বলে ধারণা করা হয়। 'শতপথ ব্রাহ্মণ'-এ (যাজুর্বেদের সাথে সম্পর্কিত) উল্লেখ রয়েছে যে, আধ্যাত্মিক বলিদানের সময় অদিতিকে আহ্বান করা হয়, কারণ তিনি পৃথিবীর সমার্থক হিসেবে বিবেচিত।
***9) প্রশ্ন: পতঞ্জলি এবং অশ্ব ঘোষ লিখিত বইয়ের নাম উল্লেখ কর?
উত্তর: পতঞ্জলির বইয়ের নাম হলো 'মহাভাষ্য', এবং অশ্বঘোষের লেখা বইয়ের নাম হলো 'বুদ্ধচরিত'।
***10) প্রশ্ন: ‘New Light on the Indus Civilization’ গ্রন্থটির লেখক কে?
উত্তর: এই গ্রন্থের লেখক হলেন ব্রজবাসী লাল, যিনি বি. বি. লাল নামেও পরিচিত।
***11) প্রশ্ন: জৈন ধর্মের ত্রিরত্ন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জৈন ধর্মে কর্মফলের উপর গভীর বিশ্বাস রয়েছে। কর্মফল থেকে মুক্তি লাভের জন্য, জৈনরা 'ত্রিরত্ন' বা তিনটি মূল্যবান নীতির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। এই ত্রিরত্ন হল: সৎবিশ্বাস, সৎ-জ্ঞান, এবং সৎ-আচরণ। এই তিনটি নীতি সঠিকভাবে পালন করলে একজন মানুষ সিদ্ধশীল হয়ে কর্মফল ও পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পেতে পারে।
***12) প্রশ্ন: পাটলিপুত্র নগরী কোন কোন নদীর দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল?
উত্তর: পাটলিপুত্র গঙ্গা ও শোন নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত ছিল। এই নগরী ছিল সম্পূর্ণভাবে বড় বড় দালান ও কাঠের উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা, যা একে সুরক্ষিত করে রাখত।
Kalyani University b.a 1st sem History major Short Question Answers 2025
***13) প্রশ্ন: বিম্বিসার ও অশোকের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর?
উত্তর: বিম্বিসার ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। অন্যদিকে, অশোক প্রথমে "চন্ডাশোক" নামে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু কলিঙ্গ যুদ্ধের পর তিনি বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হন এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ জন্মায়।
***14) প্রশ্ন: মহাপদ্মনন্দ ইতিহাসে বিখ্যাত কেন?
উত্তর: মহাপদ্মনন্দ ইতিহাসে খ্যাতি লাভ করেন তার ক্ষত্রিয় বংশের বিরুদ্ধে অভিযান এবং জয়লাভের জন্য। যেমন পরশুরাম ক্ষত্রিয়দের ধ্বংস করেছিলেন, মহাপদ্মনন্দও তেমনি ক্ষত্রিয়দের প্রতিহত করেছিলেন এবং তাদের নিধন করেছিলেন। এজন্য তাকে 'দ্বিতীয় পরশুরাম' বা 'সর্বক্ষত্রান্তক' বলা হয়। মহাপদ্মনন্দ ঐক্ষবাকু, পাঞ্চাল, কাশী, হৈহয়, কলিঙ্গ, অস্মক, মৈথিল, শুরসেন এবং বীতিহোত্র রাজ্যগুলো জয় করেছিলেন, যার ফলে পুরাণে তাকে 'একরাট' বা 'একচ্ছত্র রাজা' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
***15) প্রশ্ন: কে, কবে ভারতে প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রস্তর হাতিয়ার আবিষ্কার করেন?
উত্তর: ভারতে প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রস্তর হাতিয়ার প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন মর্টিমার হুইলার।
***16) প্রশ্ন: 'নব্য প্রস্তর' বা 'নিওলিথিক' শব্দটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন এবং কবে?
উত্তর: ১৯৩৬ সালে প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ভি. গর্ডন চাইল্ড তার 'ম্যান মেকস হিমসেলফ' গ্রন্থে 'নব্য প্রস্তর বিপ্লব' বা 'নিওলিথিক বিপ্লব' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। চাইল্ডের মতে, এই সময়ে মানুষ পাথর দিয়ে পাথর ঘষে বা কঠিন পাথরের উপর নরম পাথর ঘুরিয়ে মসৃণ অস্ত্র তৈরি করতে শুরু করেছিল।
#History#major#Short#Question#Answers #2025
***17) প্রশ্ন: প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা কী ছিল?
উত্তর: পশু শিকার করে পশুর মাংস সংগ্রহ করাই ছিল প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষের প্রধান জীবিকা। এছাড়া, এই যুগের মানুষ বনে-জঙ্গলে ঘুরে গাছের ফলমূল সংগ্রহ করত, পাখির ডিম সংগ্রহ করত, মাছ ধরত ইত্যাদি। আগুনের ব্যবহার জানত না বলে তারা কাঁচা মাংস খেত।
***18) প্রশ্ন: সিন্ধি ভাষায় 'হরপ্পা' শব্দের অর্থ কি?
উত্তর: সিন্ধি ভাষায় 'হরপ্পা' শব্দের অর্থ হল 'পশুপতির খাদ্য'।
***19) প্রশ্ন: তামিল সাহিত্যের সাম যুগে তামিলনাড়ুতে আগত গ্রিক-রোমান বণিকদের কি নামে অভিহিত করা হয়েছে?
উত্তর: সঙ্গম সাহিত্যকারেরা ছিলেন তামিল কবি। তাদের মধ্যে সমাজের বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির পুরুষ ও মহিলারাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে, এই কবিতাগুলো বিভিন্ন সংকলনে সংকলিত ও সম্পাদিত হয়ে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তামিল সাহিত্যে গ্রিক-রোমান নাবিকদের 'পুলাভার' বলা হত।
***20) প্রশ্ন: বৈদিক সভ্যতাকে 'গ্রামীণ সভ্যতা' বলার প্রধান কারণ কী?
উত্তর: বৈদিক সভ্যতাকে 'গ্রামীণ সভ্যতা' বলা হয় মূলত কারণ এই সময়কালে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গ্রামীণ জীবনের প্রাধান্য দেখা যায়। সিন্ধু সভ্যতার পতনের পর, বৈদিক সভ্যতা একটি গ্রামীণ পরিমণ্ডলে গড়ে ওঠে। তাই এই সময়ের সমাজ জীবনে মূলত গ্রামীণ জীবনের ছাপ পাওয়া যায়।
***21) প্রশ্ন: জাতকের গল্পগুলি কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল?
উত্তর: উত্তর: জাতকের গল্পগুলি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় বৌদ্ধমহাসঙ্গীতি কালে রচনা করা হয়েছিল। এই গল্পগুলি মূলত পালি ভাষায় লেখা হয়েছিল। পরে, এগুলি বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
উত্তর: উত্তর: গৌতম বুদ্ধ ৫৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তার ২৯ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেছিলেন। গৌতম বুদ্ধের গৃহত্যাগের ঘটনা ইতিহাসে মহাভিনিষ্ক্রমণ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
***23) প্রশ্ন: বিনয় পিটকের মূল বিষয়বস্তু উল্লেখ কর।
উত্তর: গৌতম বুদ্ধের উপদেশের উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধ সঙ্ঘের আচার সম্বন্ধীয় নিয়ম বিনয় পিটকে প্রতিপাদিত হয়েছে। এর তিনটি ভাগ রয়েছে - সুত্তবিভঙ্গ, খণ্ডক, ও পরিবার। সুত্তবিভঙ্গ দুটি ভাগে বিভক্ত - ভিক্ষুবিভঙ্গ ও ভিক্ষুনীবিভঙ্গ।
***24) প্রশ্ন: হরপ্পার বিখ্যাত নৃত্যরত কন্যার মূর্তিতে কোন্ ধাতু ব্যবহৃত হয়েছিল?
উত্তর: “নৃত্যরত যুবতী” একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি যার উচ্চতা ১০.৫ সেন্টিমিটার (৪.১ ইঞ্চি) এবং এটি প্রায় ৪,৫০০ বছর পুরোনো। ১৯২৬ সালে মহেঞ্জোদারোর "এইচ আর অঞ্চলে" পাওয়া যায়।
***25) প্রশ্ন: বৌদ্ধধর্মে 'মধ্যম পন্থা' বা 'মাঝিম পন্থা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: গৌতম বুদ্ধ ধর্মপালনের জন্য অত্যধিক ভোগ বিলাস ও অত্যধিক কৃচ্ছসাধনের পথকে পরিহার করে মাঝামাঝি পথ অনুসরণের কথা বলেছিলেন। একে বৌদ্ধধর্মে 'মাঝিম পন্থা' বলা হয়।
***26) প্রশ্ন: অঙ্গ এবং সুরসেন মহাজনপদ দুটির রাজধানীর নাম লেখ।
উত্তর: অঙ্গের রাজধানী চম্পা বা মালিনী এবং সুরসেনের রাজধানী ছিল মথুরা।
***27) প্রশ্ন: 'বৃক্ষায়ুর্বেদে'র আলোচিত বিষয় কী? বিজ্ঞানের কোন শাখার সঙ্গে এই রচনাটি সম্পর্কিত?
উত্তর: জীবন্ত বৃক্ষ যখন সম্পূর্ণ সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকে, তখন তাতে উত্তম ফুল ও ফলের প্রাপ্তি হয়। আরোগ্যময় দীর্ঘায়ুসম্পন্ন জীবন প্রাপ্তির জন্য আয়ুর্বেদে ব্রহ্মা আটটি অঙ্গে চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিজ্ঞানের উদ্ভিদবিদ্যার সঙ্গে এই রচনাটি সম্পর্কিত।
***28) প্রশ্ন: "মিলিন্দপনহো" কোন ভাষায় রচিত এবং এর বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: "মিলিন্দপনহো" প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছিল। পরে, এটি পালি ভাষায় অনুবাদিত হয়। এই গ্রন্থে গ্রিক শাসক মিনান্দারের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গ্রিক রাজাদের মধ্যে মিনান্দার ছিলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সাহসী নরপতি। যদিও ইউথিডেমাসের পরিবারের সাথে তাঁর সম্পর্ক সঠিকভাবে জানা যায়নি, তবুও তিনি রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন।
***29) প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কায় রচিত দুটি বৌদ্ধ সাহিত্যের নাম লেখ। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে এই দুই গ্রন্থের গুরুত্ব কী?
উত্তর: শ্রীলঙ্কায় রচিত দুটি বৌদ্ধ সাহিত্যের নাম হল দীপবংশ ও মহাবংশ। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান হিসেবে এই দুই গ্রন্থ থেকে সমসাময়িক ধর্মীয়, বাণিজ্য ও আর্য-সামাজিক ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়।
***30) প্রশ্ন: ঋগ্বৈদিক দেবমণ্ডলীর অন্যতম দেবতা অগ্নির অপর তিনটি নাম লেখ?
উত্তর: অগ্নি ঋগ্বৈদিক দেবমণ্ডলীর অন্যতম প্রধান দেবতা। ঋগ্বেদে তাঁকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে। অগ্নির কিছু বিশেষ নাম হলো:
অচিম্মান - এই নামে অগ্নিকে অভিহিত করা হয়।
ঘৃতপৃষ্ঠ - অগ্নির আরেকটি পরিচিত নাম।
জ্বালাকেশ - এটি অগ্নির একটি অনন্য নাম।
অগ্নির আরও কিছু উল্লেখযোগ্য নামের মধ্যে রয়েছে জ্বালাময়, নীলপৃষ্ঠ, তীক্ষ্ণদংশ, পিঙ্গলাশ্য, বৈশ্বানর, মধুজিহ্বা, সপ্তজিহ্বা, হিরণ্যদত্ত, এবং হিরণ্যকেশ।
***31) প্রশ্ন: এতরেয় ব্রাহ্মণে উল্লেখিত তিনটি রাজকীয় অভিধা কি কি?
উত্তর: এতরেয় ব্রাহ্মণে উল্লেখিত তিনটি রাজকীয় অভিধা হল- 'অঙ্গ', 'বঙ্গ' ও 'মগধ'।
***32) প্রশ্ন: ঋগ্বেদের প্রধান দেবতা ইন্দ্রের কী কী দায়িত্ব ছিল?
উত্তর: ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী মতে, ইন্দ্র হলেন দেবতাদের রাজা। ঋগ্বেদে তিনি দেবতাদের মধ্যে প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এছাড়া বেদে ইন্দ্রকে প্রজাপতি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পুরাণ মতে তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেব অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাবান। ব্রহ্মা ইন্দ্রকে ত্রিভুবন নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার প্রদান করেছিলেন।
***33) প্রশ্ন: ঋগ্বেদের প্রধান দেবতা ইন্দ্রের কী কী দায়িত্ব ছিল?
উত্তর: ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী মতে, ইন্দ্র হলেন দেবতাদের রাজা। ঋগ্বেদে তিনি দেবতাদের মধ্যে প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এছাড়া বেদে ইন্দ্রকে প্রজাপতি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পুরাণ মতে তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেব অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাবান। ব্রহ্মা ইন্দ্রকে ত্রিভুবন নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার প্রদান করেছিলেন।
***34) প্রশ্ন: প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী ইতিহাসবিদ হিসেবে কাকে আপনি মনে করেন? তার রচিত বা সম্পাদিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর: প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী ইতিহাসবিদ হিসেবে ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়। তার লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক গ্রন্থ হল 'হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অব দ্য ইন্ডিয়ান পিপল'।
***35) প্রশ্ন: হরপ্পাবাসীদের অ্যানিমিজম কি? অথবা হরপ্পার নাগরিকদের পশু পূজা কেমন ছিল?
উত্তর: হরপ্পাবাসীরা বিভিন্ন পশুর পূজা করত। বিভিন্ন পশুর মধ্যে কুঁজবিশিষ্ট ষাঁড়ের পূজার প্রচলন ছিল সবচেয়ে বেশি। কালিবঙ্গানে প্রাপ্ত একটি সিলমোহরে ছাগলের প্রতিকৃতি দেখে মনে করা হয় আদি শিবের পূজাতে ছাগ বলি দেওয়া হত। বিভিন্ন সিলে হাতি, বাঘ, মহিষ, ষাঁড়ের ছবি দেখে মনে করা হয় যে সেসময় পশু কেও পূজা করা হত। এটাই ছিল হরপ্পাবাসীদের অ্যানিমিজম।
***36) প্রশ্ন: 'আর্ট-ইন-স্টোন' বা “পাথরের শিল্প” কী? নির্ভরযোগ্য উপাদানরূপে সেগুলো কি উদ্দেশ্যে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, পাথরের শিল্পকর্ম হলো প্রাকৃতিক পাথরে মানুষের তৈরি নকশা বা চিহ্ন। এটি অনেকটা প্রাচীর শিল্পের সমতুল্য। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, পৃথিবীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চলে পাথরের শিল্পের উদাহরণ পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায়, এই পাথরের শিল্পকর্মগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাথরের শিল্পকর্ম থেকে প্রাচীন সভ্যতার জীবনযাপন, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়।
***37) প্রশ্ন: সাতবাহন রাজাদের দ্বারা প্রচলিত সিসার মুদ্রা এবং চোল রাজাদের দ্বারা প্রচলিত তামার মুদ্রার নাম কী?
উত্তর: সাতবাহন রাজাদের দ্বারা প্রচলিত সিসার মুদ্রার নাম হল 'পোটিন'। চোল রাজাদের দ্বারা প্রচলিত তামার মুদ্রার নাম হল 'অকা'।
***38) প্রশ্ন: জৈন সাহিত্যে উল্লেখিত মহাবীরের তিনটি অভিধা কি কি?
উত্তর: জৈন সাহিত্যে উল্লেখিত মহাবীরের তিনটি অভিধা হল ক) বর্ধমান, খ) শ্রমণ এবং গ) নিগন্থ জ্ঞানপুত্র।
***39) প্রশ্ন: প্রথম ও দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে আফগানিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে রাজত্ব করেছিলেন এমন তিনজন গ্রীক রাজার নাম লেখ।
উত্তর: প্রথম ও দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে আফগানিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে রাজত্ব করেছিলেন এমন তিনজন গ্রীক রাজার নাম হল - (১) মিনান্ডার, (২) প্রথম স্ট্র্যাটো, এবং (৩) হেলিওক্লিস।
***40) প্রশ্ন: কী কী কারণে শেষ নন্দরাজা ধননন্দ তার প্রজাদের নিকট জনপ্রিয়তা হারিয়েছিলেন?
উত্তর: নন্দরাজা ধননন্দ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর এবং অত্যাচারী শাসক। তাঁর শাসনের আইন ছিল খুবই কড়া এবং অনমনীয়। তাছাড়া, তক্ষশীলার আচার্য চানক্য যখন আলেকজান্ডারের আক্রমণ থেকে ভারতকে রক্ষার জন্য ধননন্দের কাছে সাহায্য চাইলেন, তখন তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল। এইসব কারণে ধননন্দ তাঁর প্রজাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছিলেন।
***41) প্রশ্ন: 'সুকৃতি সংকীর্তন' এবং 'কীর্তি-কৌমুদী' কারা রচনা করেছিলেন?
উত্তর: 'সুকৃতি সংকীর্তন' গ্রন্থটি রচনা করেছেন অরি সিংহ।
'কীর্তি-কৌমুদী' গ্রন্থটি রচনা করেছেন সোমেশ্বর।
***42) প্রশ্ন: ভারতের দুইজন জাতীয়তাবাদী ইতিহাস চর্চার প্রবক্তার নাম লেখ।
উত্তর: ভারতের দুইজন জাতীয়তাবাদী ইতিহাস চর্চার জাতীয়তাবাদী ইতিহাসবিদদের নাম হল - (i) রাজেন্দ্রলাল মিত্র, (ii) আর. জি. ভান্ডারকর, (iii) রমেশ চন্দ্র মজুমদার, (iv) ডি. কে. রাজওয়াদে প্রমুখ।
***43) প্রশ্ন: 'ঐতিহাসিক জীবনী' গ্রন্থ বলতে কী বোঝো? একটি ঐতিহাসিক জীবনী গ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তর: কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের জীবনী ও কার্যকলাপের কাহিনী নিয়ে রচিত গ্রন্থকে 'ঐতিহাসিক জীবনী গ্রন্থ' বলা হয়। দাহরণস্বরূপ, রাজা হর্ষবর্ধনের জীবন ও তার রাজ্যবিস্তারের কাহিনী নিয়ে রচিত 'হর্ষচরিত' গ্রন্থটি বানভট্টের একটি ঐতিহাসিক জীবনী গ্রন্থ।
***44) প্রশ্ন: 'গৈরিক মৃৎপাত্র সংস্কৃতি' বলতে কী বোঝো? অথবা 'গিরিমাটি রঞ্জিত মৃৎপাত্রের সংস্কৃতি (O.C.P) কী?
উত্তর: খ্রিস্ট-পূর্ব ২৮০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে উত্তর-পূর্ব রাজস্থান থেকে উত্তর প্রদেশের পশ্চিম প্রান্তে যে সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করেছিল, সেটি 'গিরিমাটি রঞ্জিত মৃৎপাত্র সংস্কৃতি' নামে পরিচিত। এই সংস্কৃতির মাটির পাত্রগুলির রঙ ছিল গৈরিক, তাই এটিকে 'গৈরিক মৃৎপাত্র সংস্কৃতি'ও বলা হয়।
***45) প্রশ্ন: লাংঘানাজ কেন বিখ্যাত?
উত্তর: ভারতে মধ্যপ্রস্তর যুগের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনক্ষেত্র হলো গুজরাটের লাংঘানাজ বসতি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা লাংঘানাজের ইতিহাসকে দুটি প্রধান পর্যায়ে ভাগ করেছেন। প্রথম পর্যায়ের শেষ দিকে এখানে হাতের তৈরি মাটির পাত্রের ব্যবহার শুরু হয়, এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে, অর্থাৎ নব্যপ্রস্তর যুগের প্রথমভাগে, কুমোরের চাকায় তৈরি ও অলঙ্করণ করা তৈজসপত্রের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। লাংঘানাজ অঞ্চলে হরিণ, কৃষ্ণসারমূগ, গণ্ডার, বুনো শুয়োর এবং ষাঁড়ের অস্থির মতো বিভিন্ন প্রাণীর অস্থির সন্ধান পাওয়া গেছে।
***46) প্রশ্ন: হরপ্পার আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্যগুলি কী কী?
উত্তর: হরপ্পার আমদানিকৃত পণ্য: আফগানিস্তান থেকে রূপা ও ল্যাপিস লাজুলি, আরব থেকে তামা, ইরান থেকে রূপা ও নীলকান্তমণি, মধ্য এশিয়া থেকে জেড পাথর প্রভৃতি আসত। হরপ্পার রপ্তানিকৃত পণ্য: সোনা, রূপা, তামা, হাতির দাঁত, কাঠ, ল্যাপিস লাজুলি, দামি পাথর, পশুপাখির মূর্তি প্রভৃতি সিন্ধু অঞ্চল থেকে সুমের ও মেসোপটেমিয়ায় রপ্তানি হত।
***47) প্রশ্ন: সিন্ধু শিল সম্পর্কে কি জানো?
উত্তর: সিন্ধু সভ্যতা এবং মেসোপটেমিয়ার মধ্যে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল তা প্রমাণিত হয় সিন্ধু শিলের মাধ্যমে। এসব শিলমোহরের মধ্যে কাপড়ের গাঁট, পোড়ামাটির শিল এবং রদ্রাক্ষের মতো দ্রব্য পাওয়া যায়, যা তাদের পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রমাণ। এই শিলমোহরগুলো 'সিন্ধু শিল' নামে পরিচিত।
***48) প্রশ্ন: গাভিষ্টি প্রথা কী?
উত্তর: বৈদিক যুগে মানুষের জীবন গ্রামকেন্দ্রিক ছিল এবং কৃষি ছিল তাদের প্রধান পেশা। এই সময়ে, আর্যরা প্রথমে যব এবং পরে অনার্যদের সংস্পর্শে গম ও ধান চাষ করতে শুরু করে। পশুপালনও তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাজীবিকা ছিল। গোধন বা গরুর সম্পদ ছিল তাদের অন্যতম ধনসম্পদ। গরুর সম্পদ দখলের জন্য যুদ্ধ করার একটি প্রথা ছিল, যা গাভিষ্টি প্রথা নামে পরিচিত ছিল।
***49) প্রশ্ন: 'ব্রাহ্মণ ও উপনিষদ' এর মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
ব্রাহ্মণ: যাগ-যজ্ঞ উপলক্ষে পাঠকৃত মন্ত্রগুলির অর্থ ও তার প্রয়োগ ব্যাখ্যা করে প্রতিটি সংহিতাকে কেন্দ্র করে যে গ্রন্থগুলি রচিত হয়েছে, সেগুলি ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত। এই গ্রন্থগুলি মুখ্যত গদ্যে লিখিত এবং যাগ-যজ্ঞের বিবরণ দিয়ে পূর্ণ। তাই, ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলি প্রায়ই যাগ-যজ্ঞের বিস্তারিত বর্ণনাসমূহ ধারণ করে। উপনিষদ: উপনিষদে হিন্দুদের কর্ম, মায়া, মুক্তি প্রভৃতি বিষয়ের বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া জীব ও ব্রহ্ম, আত্মা ও পরমাত্মা প্রভৃতি বিষয়েও উপনিষদে গভীর তত্ত্ব ও দার্শনিক আলোচনা পাওয়া যায়।
***50) প্রশ্ন: 'গৃহপতি' ও 'কুটুম্বিক' কাদের বলা হতো?
উত্তর: বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্যে 'গৃহপতি' ও 'কুটুম্বিক' নামে এক বিশেষ শ্রেণির লোকের উল্লেখ পাওয়া যায়। এরা ছিলেন ধনী, অনেক ভূসম্পত্তি ও গোধনের মালিক। তাদের মধ্যে মহাজনী কারবার, কৃষি এবং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত লোকজন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারা গ্রাম ও শহর উভয় স্থানে বসবাস করতেন।
***51) প্রশ্ন: ভারতে 'দ্বিতীয় নগরায়নের' উল্লেখযোগ্য নগরগুলি কী কী? 'দ্বিতীয় নগরায়ণ' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: ভারতীয় ইতিহাসের প্রথম নগরায়ণ বলতে আমরা হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলিকে বুঝি। এই নগরগুলি ধ্বংসের প্রায় ১,০০০ বছর পরে, বৈদিক যুগের শেষে মধ্য গাঙ্গেয় অঞ্চলে নগরের পুনরায় উদ্ভব ঘটে। এই ঘটনাকে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসে 'দ্বিতীয় নগরায়ণ' নামে অভিহিত করা হয়। দ্বিতীয় নগরায়ণের উল্লেখযোগ্য নগরগুলি হল হস্তিনাপুর, কোশল, কৌশাম্বী, অহিচ্ছত্র, এবং বিদিশা।
***52) প্রশ্ন: অজাতশত্রু কেন লিচ্ছবিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন?
উত্তর: অজাতশত্রু কেন লিচ্ছবিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন?
উত্তর: বৌদ্ধগ্রন্থ অনুযায়ী গঙ্গার তীরে আবিষ্কৃত একটি রত্নখনিকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এই চুক্তি দ্বারা স্থির হয়েছিল যে, এই খনি থেকে উত্তোলিত রত্ন মগধ ও বৈশালী উভয় রাজ্যের মধ্যে সমানভাগে বণ্টিত হবে। কিন্তু লিচ্ছবিগণ চুক্তিভঙ্গ করলে অজাতশত্রু যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
***53) প্রশ্ন: মহাজনপদের যুগে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি কী কী?
উত্তর: প্রস্ততাত্ত্বিকরা মহাজনপদের যুগে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলির মধ্যে দা, কুড়ুল বা কুঠার এবং কিছু লাঙলের ফলাও পেয়েছিলেন। লোহার কুড়ুল বা কুঠার দিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে কৃষিজমির পরিমাণ বাড়ানো সহজ হয়।
***54) প্রশ্ন: গোশাল কে ছিলেন? তিনি কেন বিখ্যাত?
উত্তর: গোশাল মঙ্খলিপূক্ত ছিলেন একজন ধর্মপ্রচারক যিনি আজীবিক ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের পাশাপাশি যেসব নতুন ধর্মমতের উদ্ভব হয়েছিল, তাদের মধ্যে গোশালের প্রবর্তিত আজীবিক ধর্ম ছিল একটি উল্লেখযোগ্য নাম। এই ধর্মমতের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল অদৃষ্টবাদ এবং নিয়তির প্রতি বিশ্বাস। আজীবিক ধর্মবিশ্বাসীদের মতে, ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি অসার, কারণ সবকিছু পূর্বনির্ধারিত এবং নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী ঘটে।
***55) প্রশ্ন: একটি বৌদ্ধ ও একটি জৈন গ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তর: বৌদ্ধ ধর্মের গ্রন্থ - ‘ত্রিপিটক’।
জৈন ধর্মগ্রন্থের মধ্যে অঙ্গ, উপাঙ্গ, মূল ও সূত্র—এই চারটি ভাগে সংকলিত হয়েছে।
Kalyani University BA 1st Semester History Major Short Question and Answer Suggestion PDF টি পেতে.. আপনি 21 টাকা পেমেন্ট করুন। পেমেন্টের পর এক সেকেন্ডের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সাজেশনটি পাবেন। ধন্যবাদ। টাকা টি পেমেন্ট করার জন্য নিচে PAY বাটনে ক্লিক করুন।