এখানে শুধু Important প্রশ্নের উত্তরগুলি দেয়া রয়েছে
B.A 1st Semester
History Minor Short Question Answer 2025
***1) প্রশ্ন: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতের দুটি জনপ্রিয় প্রজাতন্ত্রের নাম কী ছিল? অথবা ভারতের দুটি জনপ্রিয় প্রজাতান্ত্রিক মহাজনপদের নাম কী ছিল?
উত্তর: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের প্রজাতান্ত্রিক মহাজনপদ ছিল বৃজি এবং মল্ল।
Kalyani University BA 1st Semester History Minor Short Question and Answer Suggestion PDF টি পেতে.. আপনি 21 টাকা পেমেন্ট করুন। Suggestion Total Page-70.পেমেন্টের পর এক সেকেন্ডের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সাজেশনটি পাবেন। ধন্যবাদ।
***2) প্রশ্ন: কোন চোল রাজা বাংলা আক্রমণ করেছিলেন? সেই সময় বাংলার শাসক কে ছিলেন?
উত্তর: চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল বাংলা আক্রমণ করেছিলেন। সেই সময় বাংলার শাসক ছিলেন পাল রাজা মহীপাল।
***3) প্রশ্ন: হীনযান ও মহাযান কী?
উত্তর: হীনযান ও মহাযান হল বৌদ্ধ ধর্মের দুটি প্রধান উপাসনা পদ্ধতি। 'হীনযান' অনুসারীরা বুদ্ধের কোন প্রতিকৃতি বা মূর্তি ছাড়া উপাসনা করেন। এটি মূর্তিবিহীন উপাসনা পদ্ধতি হিসাবে পরিচিত। অন্যদিকে, 'মহাযান' অনুসারীরা বুদ্ধকে দেবতার আসনে বসিয়ে তাঁর মূর্তির সামনে উপাসনা করে থাকেন। এই উপাসনা পদ্ধতি মূর্তিসহ উপাসনা পদ্ধতি হিসাবে পরিচিত।
***4) প্রশ্ন: মগধ সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা কে ছিলেন এবং তার রাজধানীর নাম কি ছিল?
উত্তর: মগধ সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা ছিলেন বৃহদ্রথ। তার রাজধানীর নাম ছিল রাজগৃহ, যা বর্তমানে রাজগীর নামে পরিচিত।
***5) প্রশ্ন: কে শেষ মৌর্য সম্রাটকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এবং কখন?
উত্তর: শেষ মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তাঁরই প্রধান সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ। ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, অশোকের মৃত্যুর প্রায় পঞ্চাশ বছর পর, বৃহদ্রথের হত্যার মাধ্যমে মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং মগধে শুঙ্গ রাজবংশের উত্থান শুরু হয়।
***6) প্রশ্ন: অর্থশাস্ত্রে বর্ণিত দুই ধরনের ভূমিরাজস্বের নাম কর।
উত্তর: কৌটিল্য তাঁর গ্রন্থে ভূমিরাজস্বের তিনটি প্রধান প্রকার উল্লেখ করেছেন: সীতা, ভাগ এবং বলি।
***6) প্রশ্ন: "দণ্ড সমতা" এবং "ব্যবহার সমতা" কী?
উত্তর: সমাজে ব্রাহ্মণদের বিশেষ অধিকারের অবসানের লক্ষ্যে অশোক দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান প্রতিষ্ঠা করেন। "ব্যবহার সমতা" বোঝায় যে আইনের দৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান, অর্থাৎ আইন সবাইকে সমভাবে গণ্য করে। অপরদিকে, "দণ্ড সমতা" নির্দেশ করে যে সম অপরাধের জন্য প্রত্যেকের ওপর একই দণ্ড বা শাস্তি আরোপিত হবে।
***7) প্রশ্ন: হরপ্পা সভ্যতার একটি বন্দর নগরীর নাম লেখ। কোন সমসাময়িক সভ্যতার সাথে এটির বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল?
উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার একটি বিখ্যাত বন্দর নগরীর নাম হলো লোথাল। এই নগরীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল মেসোপটেমিয়া ও সুমেরীয় সভ্যতার সাথে।
***8) প্রশ্ন: ধর্মমহামাত্র কারা ছিলেন?
উত্তর: অশোকের আমলে ধর্মমহামাত্র ছিলেন এক বিশেষ শ্রেণির উচ্চপদস্থ রাজপুরুষ, যারা ধর্মের প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব পালন করতেন। তারা সরাসরি সম্রাট অশোকের দ্বারা নিযুক্ত হতেন এবং শুধুমাত্র সম্রাটের কাছেই দায়বদ্ধ থাকতেন। ধর্মমহামাত্রদের প্রধান কাজ ছিল বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। ধর্মমহামাত্র নামের সাথে 'ধর্ম' কথাটি যুক্ত থাকায় স্পষ্ট হয় যে তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রচার এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষা করা। এই পদটি সম্রাট অশোক প্রথম প্রবর্তন করেন।
***9) প্রশ্ন: অগ্রহার ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সংস্কৃতে অগ্রহার বলতে "জমি ইজারা অধিকার থেকে অব্যাহতি" বোঝায়। প্রাচীন ভারতে মন্দির, ব্রাহ্মণ ও বৌদ্ধ মঠগুলিকে এক ধরনের নিষ্কর ভূমি প্রদান করা হত। কুষাণ-সাতবাহন আমল থেকে এই প্রথার সূচনা হয় এবং গুপ্তযুগে এটি ব্যাপকতা লাভ করে। ৩০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে এই প্রথা প্রচলিত হয়ে ওঠে এবং আদি-মধ্যযুগে এটি সামন্ততন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
***10) প্রশ্ন: হর্ষবর্ধন কে ছিলেন? কোন্ চৈনিক পরিব্রাজক তার সময়কালে ভারতে এসেছিলেন?
উত্তর: হর্ষবর্ধন বা হর্ষ (৫৯০-৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ) উত্তর ভারতের একজন বিখ্যাত সম্রাট ছিলেন, যিনি ৬০৬ থেকে ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ (মতান্তরে ৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। তিনি পুষ্যভূতি বংশের রাজা প্রভাকরবর্ধনের পুত্র ছিলেন।
হর্ষবর্ধনের শাসনকালে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ভারত সফর করেছিলেন।
***11) প্রশ্ন: ত্রি-শক্তি সংগ্রাম বলতে কি বোঝায়?
উত্তর: ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর উত্তর ভারতে সার্বভৌম শক্তির অভাব দেখা দেয়। এই সময়, খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে পূর্ব ভারতে পাল বংশ, পশ্চিম ভারতে প্রতিহার বংশ এবং দক্ষিণ ভারতে রাষ্ট্রকূট বংশ একত্রে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই তিনটি শক্তি কৌনজের উপর নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই শুরু করে, যা দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে। এই সংঘর্ষকেই ইতিহাসে 'ত্রিশক্তি সংগ্রাম' নামে পরিচিত।
***12) প্রশ্ন: ভারতে আর্যদের আগমনের প্রমাণ কোন শিলালিপি থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর: এশিয়া মাইনরের বোখাজ-কোই স্থানে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে ভারতে আর্যদের আগমনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
***13) প্রশ্ন: কর্নেল টডের লেখা গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর: 'আ্যানালস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিজ অফ রাজস্থান' (১৮২৩ খ্রিঃ)।
***14) প্রশ্ন: 'রাজতরঙ্গিনী' কবে রচিত হয় এবং এর বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: 'রাজতরঙ্গিনী' কবি কল্হনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যা আনুমানিক ১১৫০ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়েছে। এই গ্রন্থটিতে কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজবংশের বিশাল ইতিহাস বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি কেবল একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং কাশ্মীরের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
***15) প্রশ্ন: অশোকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার কে করেছিলেন?
উত্তর: প্রিন্সেপ ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে অশোকের শিলালিপির পাঠোদ্ধার করেন।
***16) প্রশ্ন: প্রাচীন ভারতের লেখামালায় ব্যবহৃত দুটি প্রধান লিপির নাম কী?
উত্তর: ব্রাহ্মীলিপি ও খরোষ্ঠীলিপি।
***17) প্রশ্ন: কোন লিপি থেকে আর্যদের ভারতে আসার তারিখ জানা যায়? সেটি কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর: 'তেল আর্মানা' লিপি থেকেই ভারতে আর্যদের আগমনের তারিখ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। এই লিপিটি মিশরে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
***18) প্রশ্ন: ইন্দো-ইরান রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে কোন লিপিতে তথ্য পাওয়া যায়?
উত্তর: এই সম্পর্কের কথা নকশি রুস্তম লিপি থেকে জানা যায়।
***19) প্রশ্ন: বৌদ্ধ পণ্ডিত নাগসেন কোন গ্রন্থটি রচনা করেন, তা থেকে আমরা কি জানতে পারি?
উত্তর: বৌদ্ধ পণ্ডিত নাগসেন 'মিলিন্দ পঞ্চহো' গ্রন্থটি রচনা করেন। এ গ্রন্থ থেকে আমরা গ্রীক রাজা মিনান্দার এবং বৌদ্ধ পণ্ডিত নাগসেনের কথোপকথন জানতে পারি।
***21) প্রশ্ন: ইন্দো-ইরান রাজনৈতিক সম্পর্কের তথ্য কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: এই সম্পর্কের বিষয়ে তথ্য আমরা নকশি রুস্তম লিপি থেকে জানতে পারি।
***22) প্রশ্ন: কার রচিত কোন দুটি গ্রন্থ থেকে গুজরাটের রাজপরিবারের ধারাবাহিক ইতিহাস জানা যায়?
উত্তর: গুজরাটের রাজপরিবারের ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় সোমেশ্বরের রচনা 'রাসমালা' এবং রাজশেখরের 'প্রবন্ধকোষ' এই দুটি গ্রন্থ থেকে।
***23) প্রশ্ন: 'এলাহাবাদ প্রশস্তি' কার সম্বন্ধে এবং কে এটি রচনা করেছেন?
উত্তর: 'এলাহাবাদ প্রশস্তি' গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের প্রসঙ্গে রচিত হয়েছে। এই প্রশস্তিটি সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ দ্বারা রচিত, যেখানে সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যজয় এবং তাঁর বিভিন্ন গুণাবলীর চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
***24) প্রশ্ন: কে প্রথম ব্রাহ্মলিপির পাঠোদ্ধার করেন?
উত্তর: ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে স্যার জেমস প্রিল্সেপ ব্রাহ্মলিপির পাঠোদ্ধার করেন।
***25) প্রশ্ন: মধ্য এশিয়ার ভারতীয় সংস্কৃতির ধ্বংসাবশেষ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: অরেলস্টাইন (১৯১৩-১৪ খ্রিঃ)
***26) প্রশ্ন: রুদ্রদামনের জুনাগড় লেখতে উল্লিখিত 'আকর'-এর বর্তমান নাম কী?
উত্তর: মালব।
***27) প্রশ্ন: খারবেলের সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ লেখ কোনটি?
উত্তর: হাতিগুল্ফা শিলালেখ।
***28) প্রশ্ন: প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: প্রাগৈতিহাসিক যুগ 'Pre-Historic Age' বলতে সেই সময়কালকে বোঝায় যখন মানুষের ব্যবহৃত হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি এবং দ্রব্যাদির উপর ভিত্তি করে ইতিহাস রচনা করা হয়, কিন্তু লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না। লিখিত উপাদানের আবির্ভাবের মাধ্যমেই ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়েছিল। অতএব, প্রাগৈতিহাসিক যুগ হল মানব সভ্যতার একটি প্রাথমিক পর্ব, যখন মানুষের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির ধারণা মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মাধ্যমে জানা যায়।
***29) প্রশ্ন: প্রোটো হিস্টোরিক (Proto-Historic Age) বা "প্রায় ঐতিহাসিক যুগ” বলতে কী বোঝ?
উত্তর: 'প্রোটো হিস্টোরিক' বা 'প্রায় ঐতিহাসিক যুগ' হলো প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক যুগের মধ্যবর্তী একটি সময়কাল। এই যুগে লিপির আবিষ্কার হয়েছিল, তবে সেই লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। হরপ্পা সংস্কৃতির উদাহরণ দিয়ে এই সময়কালকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যেখানে লিপি ছিল কিন্তু তা এখনো পুরোপুরি পাঠোদ্ধার করা যায়নি।
***30) প্রশ্ন: কালানুক্রম সন্বলিত ইতিহাস (Chronological History) বলতে কি বোঝ?
উত্তর: কালানুক্রম সন্বলিত ইতিহাস বা Chronological History বলতে বুঝি ঘটনার ধারাবাহিক বর্ণনা, যা ঘটনার সঠিক ক্রমানুসারে বিন্যস্ত করা হয়। শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ 'Chronologic' থেকে। ইতিহাস মূলত অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সমষ্টি হলেও, সেই ঘটনাগুলোকে সময়ের ক্রম অনুযায়ী সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, অতীতে যেমনভাবে ঘটনা ঘটেছে, সেই অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে সেগুলোকে উপস্থাপন করার পদ্ধতিকে কালানুক্রম সন্বলিত ইতিহাস বলা হয়।
***31) প্রশ্ন: প্যালিওলিথিক যুগ বা প্রাচীন প্রস্তর যুগ (Palaeolithic) কী বোঝায়?
উত্তর: প্যালিওলিথিক যুগ, যা প্রাচীন প্রস্তর যুগ নামেও পরিচিত, হলো মানব ইতিহাসের একটি প্রাথমিক পর্ব, যখন মানুষ প্রধানত পাথরের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই যুগের হাতিয়ারগুলো ছিল সাধারণত বৃহৎ আকারের এবং অমসৃণ। এই সময়ের সূচনা নিম্ন প্লিস্টোসিন যুগে হয়েছিল এবং আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতবর্ষে এই যুগের পরিসমাপ্তি ঘটে।
***32) প্রশ্ন: আর্য কারা?
উত্তর: "আর্য কারা" এ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ আছে। কিন্তু অধিকাংশ পণ্ডিত, যেমন জোনস্ এবং ম্যাক্সমুলার, মনে করেন যে আর্য একটি ভাষাগোষ্ঠীর নাম। এই ভাষাগোষ্ঠীতে সংস্কৃত, গ্রিক, লাতিন, জার্মান, কেলটিক, পারসিক, গথিক প্রভৃতি ভাষায় কথা বলা লোকেরা অন্তর্ভুক্ত। এই ভাষাগুলির মাধ্যমে যারা যোগাযোগ করেন, তাদেরকেই আর্য বলা হয়।
***33) প্রশ্ন: বৈদিক যুগের 'চতুরাশ্রম' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বৈদিক যুগে প্রথম তিন বর্ণের আর্যদের জীবনধারা চারটি আশ্রমে বিভক্ত ছিল। এই চারটি আশ্রম একত্রে 'চতুরাশ্রম' নামে পরিচিত। চারটি আশ্রমের বিবরণ নিম্নরূপ:
ব্রহ্মচর্য আশ্রম: কৈশোরে গুরুগৃহে থেকে শিক্ষালাভ করার সময়।
গার্হস্থ্য আশ্রম: যৌবনে বিবাহ করে সংসার জীবনযাপনের সময়।
বাণপ্রস্থ আশ্রম: প্রৌঢ় অবস্থায় বনমুখী হয়ে ঈশ্বরচিন্তা করার সময়।
সন্ন্যাস আশ্রম: গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ ও মোক্ষলাভের সাধনায় জীবনের শেষ দিনগুলি অতিবাহিত করার সময়।
***34) প্রশ্ন: 'অনুলোম' ও 'প্রতিলোম' বিবাহ কী?
উত্তর: হিন্দুধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী বর্ণপ্রথার ভিত্তিতে দুটি ধরনের বিবাহ প্রচলিত রয়েছে: 'অনুলোম' ও 'প্রতিলোম'। অনুলোম বিবাহ: যখন কোনো উচ্চবর্ণের পুরুষ কোনো নিম্নবর্ণের নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন তাকে অনুলোম বিবাহ বলা হয়। প্রতিলোম বিবাহ: অন্যদিকে, নিম্নবর্ণের পুরুষ যদি কোনো উচ্চবর্ণের নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তাহলে তাকে প্রতিলোম বিবাহ বলা হয়।
এই দুটি প্রকারের বিবাহ হিন্দুধর্মের শাস্ত্র এবং বর্ণপ্রথার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
***35) প্রশ্ন: মেহেরগড় কোথায় অবস্থিত? কেন এটি বিখ্যাত?
উত্তর: মেহেরগড় বর্তমানে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জাঁ-ফ্রাঁসোয়া জারেজ এই সভ্যতা আবিষ্কার করেন। মেহেরগড় সভ্যতা বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত: উন্নত সভ্যতা: মেহেরগড় সভ্যতা সিন্ধু পূর্ব যুগের একটি উন্নত সভ্যতা ছিল। এটি প্রমাণ করে যে এই অঞ্চলে বহু প্রাচীনকাল থেকেই উচ্চমাত্রার সভ্যতা ছিল। প্রভাবমুক্ত: পূর্বে হরপ্পা সভ্যতাকে প্রাথমিকভাবে বিদেশি প্রভাবাধীন বলে মনে করা হত। কিন্তু মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কার এই ভুল ধারণা দূর করে দেয়। উত্তরসূরি: মেহেরগড় সভ্যতার উত্তরসূরি ছিল হরপ্পা সংস্কৃতি। হরপ্পার মতো উন্নত সভ্যতার উত্থান আকস্মিক ছিল না, বরং তা ছিল মেহেরগড় সভ্যতার ধারাবাহিক উন্নতির ফলাফল।
এই কারণগুলোর জন্য মেহেরগড় সভ্যতা প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও ইতিহাসবিদদের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
***36) প্রশ্ন: তীর্থঙ্কর কারা? প্রথম ও শেষ তীর্থঙ্করের নাম উল্লেখ কর। অথবা 'তীর্থঙ্কর' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আক্ষরিক অর্থে তীর্থঙ্কর শব্দের অর্থ মুক্তিলাভের তীর্থ বা পথ প্রদর্শনকারী ধর্মপ্রচারক। জৈনধর্মে এই গুণসহ চব্বিশজন বিশেষ সাধক আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই সাধকেরা 'তীর্থঙ্কর' নামে পরিচিত ছিলেন।
জৈনদের প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভদেব। শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর।
***37) প্রশ্ন: 'সাতবাহন' কাদের নির্দেশ করে?
উত্তর: পুরাণের ভিত্তিতে, বলা যায় যে সাতবাহনরা অন্ত্রপ্রদেশের অধিবাসী ছিলেন। কিছু ঐতিহাসিকের মতে, তাঁরা অন্ত্রজাতীয় ছিলেন, তবে তাঁরা মূলত অন্ত্রপ্রদেশে অবস্থান করেননি। কারণ, খ্রিষ্টপূর্ব যুগে অন্ত্রজাতি বিদর্ভ বা বেরার অঞ্চলে বাস করত। তবে, এই তথ্য ইতিহাসের সঙ্গে মেলে না। ধারণা করা হয়, সাতবাহনরা অন্ত্রপ্রদেশে বাস করতেন এবং সম্ভবত প্রথমদিকে কাধ বা অন্য কোনো শক্তিশালী ব্যক্তির অনুগত সামন্ত ছিলেন। এজন্য তাঁদেরকে 'অন্ত্রভৃত্য' বা 'যে-অন্ত্ররা ভৃত্য ছিল' এই নামকরণ করা হয়েছে।
***38) প্রশ্ন: 'শকারি' কাকে বলা হয় এবং কেন?
উত্তর: গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তকে 'শকারি' বলা হয়। । তিনি গুজরাট ও কাথিয় শক রাজা তৃতীয়কে পরাস্ত করে ওই অঞ্চলের শাসনাধিকার লাভ করেন, যা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্তি ঘটায়। এই বিজয়ের ফলে ভারতে বিদেশি শক শাসনের অবসান ঘটে, এবং তাই তিনি 'শকারি' উপাধি ধারণ করেন।
Kalyani University BA 1st Semester History Minor Short Question and Answer Suggestion PDF টি পেতে.. আপনি 21 টাকা পেমেন্ট করুন। Suggestion Total Page-70.পেমেন্টের পর এক সেকেন্ডের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সাজেশনটি পাবেন। ধন্যবাদ।
1st Semester History Major Long Question Answers Uplode kora hoyeche. Link Click Here
History Minor Long Questions Answers khub tara tari uplode kora hobe. Kono darkar hole amake call ba sms korte paro 7364983019 / 6295668424
History boat quotes Uttar 1st semester major and minor 2024 Bengali
1st Semester History Major Long Question Answers Uplode kora hoyeche. Link Click Here
History Minor Long Questions Answers khub tara tari uplode kora hobe. Kono darkar hole amake call ba sms korte paro 7364983019 / 6295668424
Sir 🙏🙏🇮🇳
Hmm..