University of Kalyani
B.A 1st Semester
Political Science Major Short Question Answer
Political Science Major-1
Course Code: POL-M-T-1
1.প্রশ্ন: সাম্যের যেকোনো দুটি প্রকার চিহ্নিত কর।
উত্তর: সাম্যের দুটি প্রকার হলো- ক) অর্থনৈতিক সাম্য, খ) রাজনৈতিক সাম্য, গ) আইনগত সাম্য, ঘ) সামাজিক সাম্য, ঙ) প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক সাম্য।
2. প্রশ্ন: দুটি অর্থনৈতিক অধিকারের উল্লেখ করো ?
1. কর্মের অধিকার: এই অধিকার অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্যক্তি তার যোগ্যতা এবং সক্ষমতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার অধিকারী। কর্মের অধিকার সমাজে প্রত্যেকের সমানভাবে কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে।
2. উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অধিকার: এই অধিকার অনুযায়ী, প্রত্যেক কর্মরত ব্যক্তির পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যা তাদের জীবনযাপন এবং পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য অপরিহার্য।
3. বিশ্রামের অধিকার: কাজের অধিকারের পাশাপাশি বিশ্রামের অধিকারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরবচ্ছিন্ন কাজের পরে বিশ্রামের সুযোগ না থাকলে মানুষের পক্ষে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হয় না। বিশ্রামের অধিকার মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য।
3. প্রশ্ন: ন্যায়বিচার কি?
উত্তর: আইনশাস্ত্র ও দর্শনশাস্ত্রে ন্যায়বিচার বলতে কোন ব্যক্তির প্রাপ্য কী হবে এবং তার জন্য ভাল ও মন্দের ভাগের তত্ত্বকে বোঝায়। ন্যায়বিচারকে কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা সম্ভব। এদের মধ্যে একটি হল বিতরণমূলক ন্যায়বিচার, যেখানে সম্পত্তি ও অন্যান্য পণ্য বিতরণ করা হয়।
4.প্রশ্ন: গণতন্ত্রের দুটি ধরন উল্লেখ করো ?
উত্তর: গণতন্ত্রের দুটি ধরন হলো: 1.প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র 2.পরোক্ষ গণতন্ত্র ।
5.প্রশ্ন: On Liberty গ্রন্থটির লেখক কে এবং এটি কোন বছর প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ব্রিটিশ দার্শনিক জন স্টুয়ার্ট মিলের বিখ্যাত On Liberty গ্রন্থটি ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত হয়।
6.প্রশ্ন: স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দুটি বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত কর।
উত্তর: স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দুটি বৈশিষ্ট্য:
১. স্বৈরতন্ত্রে রাজনৈতিক দল গঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
২. স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে না। কিন্তু জাতীয় বৈশিষ্ট্য ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমতা বা সংহতি বজায় রাখার প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়।
(3) এরকম ব্যবস্থায় বলপ্রয়োগ ও জবরদস্তির দ্বারা নাগরিকদের রাজনীতিক আনুগত্য লাভ করার ব্যবস্থা করা হয়।
7.প্রশ্ন : নাগরিকতা অর্জনের প্রধান দুটি পদ্ধতির নাম কী কী?
উত্তর: নাগরিকতা অর্জনের দুটি প্রধান পদ্ধতি হল: ১. জন্মসূত্রে নাগরিকতা ২. অনুমোদন সূত্রে নাগরিকতা
8.প্রশ্ন: রাজনীতিকে ‘মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বরাদ্দ’ হিসেবে কে বর্ণনা করেছেন?
উত্তর: কার্ল মার্কস রাজনীতিকে ‘মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বরাদ্দ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
9.প্রশ্ন: কে রাজনীতিকে ‘মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বরাদ্দ’ বলেছেন?
উত্তর: কার্ল মার্কস রাজনীতিকে ‘মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বরাদ্দ’ বলেছেন।
10. প্রশ্ন: “Sexual Politics” গ্রন্থটি কে রচনা করেন? গ্রন্থটি কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: “Sexual Politics” গ্রন্থটি রচনা করেন কেইট মিলেট। গ্রন্থটি রচিত হয় ১৯৬৯ সালে এবং গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে।
11. প্রশ্ন ৪: অধিকারের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো ?
উত্তর: অধিকারের বৈশিষ্ট্য হল-
(i) অধিকার মূলত সীমিত সুবিধা। রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক আরোপিত সীমাবদ্ধতার মধ্যে অধিকার উপভোগ করতে হয়।
(ii) অধিকার এককভাবে সীমাহীন নয়। অধিকার উপভোগ করতে হলে কর্তব্যও পালন করতে হয়।
(iii) অধিকার একটি সামাজিক বিষয়। সমাজের বাইরে অধিকারের কোন তাৎপর্য নেই।
12. প্রশ্ন: লাসওয়েল রাজনীতিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন?
উত্তর: লাসওয়েলের মতে ‘যে যা, যখন যেভাবে পায় সেটাই রাজনীতি।’ অর্থাৎ জনগণ সরকারের কাছ থেকে দেশ শাসনে বা সরকার নির্বাচনের যে অধিকার পায় সেটাই রাজনীতি।
13. প্রশ্ন: ডেভিড ইস্টোনকে অনুসরণ করে বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক তত্ত্বের গুরুত্ব হ্রাসের দুটি কারণ লেখ ?
উত্তর: ডেভিড ইস্টনের মতে, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক তত্ত্বের গুরুত্ব হ্রাসের দুটি মূল কারণ হল:
(1) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নানা ধরনের মতামত শোনার মাধ্যমে জনগণ সেই মতামতকে গ্রহণ করে। ফলে, বর্তমানে রাজনৈতিক তত্ত্বের গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
(2) বর্তমানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে, যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি পরিচালিত হয়। তাই তারা রাজনৈতিক তত্ত্বের গুরুত্বকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মত অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করে। ফলস্বরূপ, রাজনৈতিক তত্ত্বের গুরুত্ব হ্রাস পাচ্ছে।
14.
প্রশ্ন: জন লকের মতে সরকার কেন সীমিত হওয়া উচিত?
উত্তর: জন লকের মতে সরকারের ক্ষমতা সীমিত হওয়া উচিত। অর্থাৎ, জন লক সীমিত সরকারের ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, একটি সরকার যত কম শাসন করবে, প্রজারা তত সুখে ও শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারবে। এই কারণেই তিনি বিশ্বাস করতেন যে সরকারের ক্ষমতা সীমিত হওয়া উচিত।
15. প্রশ্ন: একাত্ববাদীরা সার্বভৌমিকতাকে কেন চরম হিসেবে বিবেচনা করেছেন?
উত্তর: একাত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, সার্বভৌমিকত্ব হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এবং সম্পূর্ণ ক্ষমতা। এই ক্ষমতার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার সীমার মধ্যে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অদম্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একাত্ববাদীদের মতে, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব হলো চূড়ান্ত, সীমাহীন, অখণ্ড এবং সর্ববৃহৎ। রাষ্ট্র একমাত্র শক্তি যা বলপ্রয়োগ করতে পারে। তাই একাত্ববাদীরা সার্বভৌমিকতাকে চরম ও অদ্বিতীয় হিসেবে গণ্য করেন।
16. প্রশ্ন: সার্বভৌমিকতার বহুত্ববাদী তত্ত্বের দুটি সীমাবদ্ধতা লেখ ?
উত্তর: সার্বভৌমিকতার বহুত্ববাদী তত্ত্বের দুটি সীমাবদ্ধতা হল:
(১) বহুত্ববাদীরা রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা অন্যান্য সামাজিক সংঘের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলেন; বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কারণ, সার্বভৌম ক্ষমতার বিভাজন সম্ভব নয় এবং কাম্যও নয়।
(২) আইন ও প্রথার মধ্যে পার্থক্য সঠিকভাবে বিচার-বিবেচনা করা উচিত, কিন্তু বহুত্ববাদ তা করে না।
(৩) উৎপাদনের মালিকানা যাদের হাতে, তারাই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ও চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং ক্ষমতা শ্রেণি স্বার্থে পরিচালিত হয়—বহুত্ববাদ একে উপেক্ষা করেছে।
17.প্রশ্ন: ভাববাদীরা কেন রাষ্ট্রকে ‘নিজেই নিজের লক্ষ্য’ বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর: ভাববাদ অনুসারে রাষ্ট্রনৈতিকতার মূর্ত প্রতীক। এটি একটি নৈতিক সংগঠন। মানুষের নৈতিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ প্রভৃতি এই সংগঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। রাষ্ট্র ব্যক্তি মানুষের অপরিহার্য ও চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র ছাড়া ব্যক্তির পরিপূর্ণ জীবন ও আত্ম উপলব্ধি সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের আদর্শই চরম, চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয়। তাই ব্যক্তি স্বাধীনতার রক্ষক হল রাষ্ট্র। এজন্য ভাববাদীরা রাষ্ট্রকে ‘নিজেই নিজের লক্ষ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
18.প্রশ্ন: রবার্ট নোজিক ‘ন্যূনতম রাষ্ট্র’ বলতে কি বুঝিয়েছেন?
উত্তর: নতুন-উদারনীতিবাদী রবার্ট নোজিক ‘ন্যূনতম রাষ্ট্র’ (Minimal State) ধারণায় বিশ্বাসী। তার মতে, রাষ্ট্র হবে ন্যূনতম। এই রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের সাযুজ্য স্থাপন এবং যুক্তিবাদের সঙ্গে মানবতাবাদী ধর্মের সংযোগ সাধন। এই রাষ্ট্র বাজার সমাজের অসম ও কঠোর প্রকৃতির বিধি ব্যবস্থা ও বণ্টন ব্যবস্থা, মজুরী ও মুনাফার ব্যবস্থা, বাজার দাম, ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজন পূরণ প্রভৃতির দিকে নজর রেখে প্রয়োজনী হস্তক্ষেপ করবে।
19.প্রশ্ন: রাজনৈতিক অধিকারের সংজ্ঞা তুমি কিভাবে নির্ধারণ করবে? অথবা রাজনৈতিক অধিকার বলতে তুমি কী বোঝো?
উত্তর: রাজনৈতিক অধিকার হলো সেই অধিকারের সমষ্টি যা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এ ধরনের অধিকারের মধ্যে নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ভোটদান ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার। তবে, এই অধিকারগুলি কেবলমাত্র নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য, বিদেশীদের জন্য নয়।
20. প্রশ্ন: রলস কোন গ্রন্থে ন্যায় সংক্রান্ত ধারণা আলোচনা করেছেন? সেটি কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: জন রলস তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘A Theory of Justice’-এ ন্যায় সংক্রান্ত ধারণা আলোচনা করেছেন। গ্রন্থটি ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হয়।
21.প্রশ্ন: জোসেফ শ্যুম্পিটার ‘গণতন্ত্রকে কেন রাজনীতিবিদদের শাসন’ বলে অভিহিত করেছেন?
উত্তর: সাম্প্রতিককালে জোসেফ শ্যুম্পিটার মতে, জনগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা নীতি নির্ধারণ করেন না; তারা কেবল প্রতিনিধি নির্বাচন করে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের হয়ে যাবতীয় কার্য সম্পাদন করেন। অর্থাৎ রাজনীতিবিদরাই জনগণকে শাসন করে, জনগণ মুখ বুজে সেই শাসন মেনে চলে। তাই তিনি গণতন্ত্রকে ‘রাজনীতিবিদদের শাসন’ বলে অভিহিত করেছেন।
22. প্রশ্ন: রাজনীতি পাঠে মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বৈশিষ্ট্য বা গুরুত্ব লেখ ?
উত্তর: রাজনীতি পাঠে মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গির দুটি বৈশিষ্ট্য-
i) মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গী অন্যান্য দৃষ্টিভঙ্গী থেকে আলাদা, যা মানুষের, সমাজের এবং রাজনীতির বিষয়ে একটি বৈজ্ঞানিক ও সামগ্রিক আলোচনা প্রদান করে। এটি সমগ্র মানব সমাজের বিকাশের ধারাকে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে।
ii) মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গী অনুসারে, সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থাই সকল কিছুর মূল। বৈষয়িক জীবনে (Material life) উৎপাদন পদ্ধতির দ্বারা সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনন বিষয়ক জীবনধারা সাধারণভাবে নির্ধারিত হয়। এর ভিত্তিতেই রাজনীতি, ধর্ম, দর্শন ও সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
iii) দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের ওপর ভিত্তি করে মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি হয়েছে। এর মূল কথা হল, সমাজের সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অনিবার্য বিকাশের ধারাকে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা এবং রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঠিক মূল্যায়ন সেই অনুযায়ী নির্ভর করে।
23. প্রশ্ন:পলিটিক্স’ বইটির লেখক কে?
উত্তর: রাষ্ট্র দার্শনিক অ্যারিস্টটল।
24. প্রশ্ন: রাজনৈতিক তত্ত্বের সংজ্ঞা লেখ?
উত্তর: রাজনৈতিক তত্ত্ব হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি রাজনীতি বিষয়ক চিন্তা এবং দর্শনের সমন্বয়ে গঠিত। কোনো তত্ত্ব হঠাৎ করে তৈরি হয় না; বরং এটি দীর্ঘকাল ধরে চলা রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সুসংবদ্ধ চিন্তাভাবনার ফলাফল। এই চিন্তাভাবনাগুলি সময়ের সাথে পরিশীলিত হয় এবং পরবর্তীকালে রাজনৈতিক তত্ত্ব হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
25. প্রশ্ন: রাজনীতি চর্চার নীতিমানবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর দুইজন প্রবক্তার নাম উল্লেখ কর?
উত্তর: নীতিমানবাচক বা আদর্শনিষ্ঠ (Normative) দৃষ্টিভঙ্গীর দু’জন মুখ্য প্রবক্তা হলেন শ্রীকদর্শনের প্রবাদ পুরুষ প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল। এছাড়াও লিও স্ট্রাউস এবং হ্যালোওয়েলের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।
26. রাজনীতি চর্চার আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কিত দুইজন প্রবক্তার নাম উল্লেখ কর?
উত্তর: রাজনীতি চর্চার আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গী সম্পর্কিত দুইজন প্রবক্তার নাম হল গ্রাহাম ওয়ালাস এবং আর্থার বেন্টলী।
26. প্রশ্ন: রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চার আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর দুটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর: ১. আচরণবাদী আন্দোলনের ফলে ভাষার কঠোরতা বা দুর্বোধ্যতা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২. সভ্যতার মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
27. প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদের পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তর: জাতীয়তাবাদের পক্ষে দুটি মূল যুক্তি:
১. উচ্চ আদর্শের প্রেরণা: জাতীয়তাবাদ একটি উচ্চ আদর্শ হিসেবে জাতিকে দেশপ্রেম ও একাত্মতার দিকে উদ্বুদ্ধ করে। এই আদর্শ দেশের জন্য আত্মত্যাগের প্রেরণা জোগায় এবং জনগণকে একত্রিত করে।
২. গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা: ইউরোপীয় নবজাগরণের সময় জাতীয়তাবাদের উন্মেষ, মার্কিন স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং ফরাসি বিপ্লবসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি জাতীয় অখণ্ডতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
৩. সম্প্রীতির বার্তা: প্রকৃত জাতীয়তাবাদের মূল সুর হলো ‘নিজে বাঁচো এবং অপরকে বাঁচতে দাও।’ এটি সংঘর্ষ ও বিবাদের পরিবর্তে সহযোগিতা ও সম্প্রীতির ধারণা প্রচার করে, যা বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
28. প্রশ্ন: রাষ্ট্র সম্পর্কিত সামাজিক চুক্তি মতবাদের দুটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
(১) চুক্তি অনুসারে মানুষ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কেউ রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়নি।
(২) প্রাকৃতিক অধিকারের বদলে মানুষ লাভ করে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সংরক্ষিত অধিকার।
29. নাগরিকতার চারটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর: নাগরিকতার চারটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
- রাষ্ট্রের সদস্য হতে হবে।
- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।
- রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে।
- সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার উপভোগ করতে হবে।
30. প্রশ্ন: রাষ্ট্র সম্পর্কিত নয়া-উদারনৈতিক তত্ত্বের দুইজন প্রবক্তার নাম উল্লেখ কর ?
উত্তর: রাষ্ট্র সম্পর্কিত নয়া-উদারনৈতিক তত্ত্বের দুইজন প্রবক্তার নাম হল ফ্রেডরিক হায়েক এবং রবার্ট নজিক।
31.প্রশ্ন: সার্বভৌমিকতার দুটি বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: (ক) অবিভাজ্যতা বা চরমতা, অর্থাৎ এটি বিভাজিত বা ভাগ করা যায় না। (খ) অহস্তান্তর যোগ্যতাহীনতা, অর্থাৎ এটি স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা যায় না।
32. প্রশ্ন: গণতন্ত্রের দুটি প্রকার উল্লেখ কর ?
উত্তর: গণতন্ত্রকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়, যথা:
(১) প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র এবং (২) পরোক্ষ বা প্রতিনিধিমূলক গণতন্ত্র।
33. প্রশ্ন: সাম্যের বিভিন্ন প্রকার কী কী?
উত্তর: সাম্যকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা- (ক) সামাজিক সাম্য, (খ) রাজনৈতিক সাম্য, এবং (গ) অর্থনৈতিক সাম্য।
34. প্রশ্ন: স্বাধীনতার সংজ্ঞা দাও?
উত্তর: স্বাধীনতা বলতে বোঝায় এমন এক পরিবেশের সযত্ন সংরক্ষণ যেখানে মানুষের ব্যক্তি সত্তার পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব।
34. প্রশ্ন:আইন-এর সংজ্ঞা দাও?
উত্তর: উইলসনের ভাষায়, “আইন হলো স্থায়ী আচার-ব্যবহার ও চিন্তাধারার সেই অংশ যা সাধারণ নিয়মাবলী হিসাবে সুস্পষ্ট এবং আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং যার পিছনে সরকারের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা বর্তমান।”
35. প্রশ্ন: ‘ন্যায়’-এর সংজ্ঞা দাও?
উত্তর: ন্যায়ের সংজ্ঞা: রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় ন্যায়ের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি জটিল ধারণা এবং এক বিমূর্ত আদর্শ। ন্যায়ের সাথে যুক্তিসঙ্গততা, উচিত্য আদর্শ বোধ এবং চরম সত্যতা ও বিশুদ্ধতা সম্পৃক্ত থাকে। এক কথায়, ন্যায় হল সমাজের যাবতীয় রাজনৈতিক মূল্যবোধের এক ঐক্যবদ্ধ ও অখন্ড রূপ।
Khub sundor